We have many kinds of stories in our world. And every story teaches us something. It might be good or bad. In this blog, we will share those stories which will take our, our soul from Dark to Light. And Light to more Light. Let's bring the light into ourselves to connect Our Soul to Supreme Power. And know who we are. Share the articles with your loved ones. Telegram Channel: searchownsoul
Wednesday, June 30, 2021
How To Deal With Toxic People? Gaur Gopal Das
Monday, June 7, 2021
What makes life complete? | Gaur Gopal Das | TEDxMITP
Thursday, May 27, 2021
One of the Most Eye Opening Speeches - Swami Mukundananda Motivation
Wednesday, January 13, 2021
শঙ্করাচার্য্যের প্রতিষ্ঠিত দশনামী সম্প্রদায় [Shankaracharya Founded Ten type of Saint]
শঙ্করাচার্য্য দশম শতাব্দীতে সনাতন হিন্দু ধর্মের প্রচার ও প্রসারের জন্য ভারতের চারদিকে চারটি মঠ স্থাপন করেন| এবং ভারতের সকল সন্ন্যাসীদের দশটি সম্প্রদায়ে ভাগ করে এই চারটি মঠের অধীনে করেন| এই দশনামী সম্প্রদায় হলো- পুরী, গিরি, ভারতী, সরস্বতী, তীর্থ, আশ্রম, বন, অরণ্য, সাগর ও পর্বত| এই দশনামী সম্প্রদায় চার ভাগে বিভক্ত হয়ে চার মঠের অন্তর্গত হয়|
শঙ্করাচার্য্য প্রবর্তিত চার মঠ হলো, ভারতের উত্তরে জ্যোতিমঠ বা যোশীমঠ, দক্ষিণে শৃঙ্গেরী মঠ, পূর্বে গোবর্ধন মঠ ও পশ্চিমে সারদা মঠ|
শঙ্করাচার্য্য বেদকে চার ভাগ করে চার মঠের অন্তর্গত করেন|
তাই উত্তরে যোশী মঠের প্রধান শাস্ত্র অথর্ব বেদ| এই মঠের আরাধ্য হলো বদ্রীনারায়ণ| এই যোশী মঠের অন্তর্গত হলো, গিরি, সাগর ও পর্বত সম্প্রদায়ের সন্নাসিগণ|
দক্ষিণে ভারতের মহীশুর রাজ্যের অন্তর্গত শৃঙ্গেরী মঠের প্রধান শাস্ত্র হলো যজুর্বেদ| আরাধ্য দেবতা হলেন রামেশ্বর| এই মঠের অন্তর্গত হলো পুরী, ভারতী ও সরস্বতী সম্প্রদায়|
পূর্ব ভারতের পুরুষোত্তম তথা পুরীর গোবর্ধন মঠের প্রধান শাস্ত্র হলো ঋক বেদ| আরাধ্য দেবতা হলেন জগন্নাথ| এই মঠের অন্তর্গত সন্ন্যাসী সম্প্রদায় হলো বন ও পর্বত|
পশ্চিমে ভারতের দ্বারকায় সারদা মঠের প্রধান শাস্ত্র হলো সামদেব| আরাধ্য দেবতা হলেন দ্বারকাধীশ| এই সারদা মঠের অন্তর্গত হলো তীর্থ ও আশ্রম সম্প্রদায়ের সন্নাসিগণ|
এই দশনামী সম্প্রদায় আবার সাতটি আখড়ায় বিভক্ত| তাহলো,- নির্বানী, নিরঞ্জনী, জুনা, অটল, আনন্দ, আবাহন ও অগ্নি| নির্বানী, নিরঞ্জন ও জুনা এই তিন নাগা সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসী| এর মধ্যে নিরঞ্জনী ও জুনা নাগা সন্ন্যাসীগণ হরিদ্বারে কুম্ভ যোগ স্নানের আর নির্বানী সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসীগণ প্রয়াগে কুম্ভ স্নানে সর্ব প্রথম শোভাযাত্রায় থাকেন|
শঙ্করাচার্য্য প্রবর্তিত এই মঠের অধীনে ভারতের দশনামী সম্প্রদায়ের সকল সন্ন্যাসীকে নিজেদের নাম গোত্রে এই চার মঠের দীক্ষা ক্ষেত্রে অঙ্কিত হয়| এই জন্য চার মঠের অধীনে বাহান্নটি দীক্ষা কেন্দ্র আছে|
শঙ্করাচার্য্যের পাঁচ শত বছর পর ষোড়শ শতাব্দীতে সম্রাট আকবরের সময় মহাসাধক মধুসূদন সরস্বতী মূলত নাগা সম্প্রদায়ের সৃষ্টি করেন|
এই সময় মুসলমান সৈন্যরা কুম্ভমেলার হিন্দু সন্নাসিদের উপর খুবই অত্যাচার করতো| অহিংসা ও নিরস্ত্র হিন্দু সন্নাসীগণ নীরবে এই অত্যাচার সহ্য করতেন|
এইবার সম্রাট আকবরের মরণাপন্ন কন্যাকে মুধুসূধন সরস্বতী যোগবলে সুস্থ করে দেন| ভারত বিখ্যাত এই বৈদান্তিক ও মহাযোগীকে সম্রাট আকবর শ্রদ্ধার সাথে কিছু দিতে চাইলে মধুসূদন সরস্বতী তখন সম্রাট আকবরকে কুম্ভমেলায় হিন্দি সাধুদের উপর অত্যাচারের কথা বলেন|
সম্রাট তখন তাকে বলেন যে, আপনাদের আক্রমণ করলে আপনারাও সশ্রস্ত্র হয়ে পাল্টা আক্রমণ করবেন| এতে আমার সম্মতি রইলো| সেই রূপ ঘোষণাও সম্রাট আকবর করলেন|
তখন মুধুসূদন সরস্বতী চির উদাসী ও নির্ভীক নগ্ন সাধুদের সশস্ত্র করে নাগা সম্প্রদায়ের সৃষ্টি করলেন|
তথ্যসূত্র: মহাপীঠ তারাপীঠ (দ্বিতীয় খন্ড) -- শ্রী বিপুল কুমার গঙ্গোপাধ্যায়